স্বদেশ ডেস্ক:
গাজার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এক পরিবারের ৫২ জন নিহত হয়েছে। পরিবারটিতে দাদা থেকে শুরু করে নাতি-নাতনি কেউ আর জীবিত নেই। যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই বুধবার সকালে ওই হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এছাড়া বৃহস্পতিবার ভোরেও খান ইউনিসসহ কয়েকটি শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
গাজায় আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) থেকে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিরতি নিয়ে বুধবারই সমঝোতায় আসে ইসরায়েল। তবে ওইদিন সকালেও বিমান হামলা থেকে বিরত থাকেনি ইসরায়েলি সেনারা।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার ভোরে গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নির্বিচার বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমানের ওই হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি জানান, বুধবার সকালে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহতদের মধ্যে ৫২ জন একই পরিবারের সদস্য।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র বুধবার সকালের হামলায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে কাদৌরা পরিবার থেকে ৫২ জন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পরিবারটির সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।
রিয়াদ আল মালিকি বলেন, আমার কাছে ৫২ জনের নামের তালিকা আছে। তারা দাদা থেকে নাতি-নাতনি সবাই সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগেও গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিস ও মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ শহরেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
খান ইউনিস শহরের পূর্বাঞ্চলীয় অন্তত পাঁচটি বাড়ি বোমায় গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিঁখোজ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিখোঁজরা ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মানেই যুদ্ধ শেষ নয়। যুদ্ধবিরতির পরও যুদ্ধ চলবে, হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।